· ***
প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান
করা | মহিলাদের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস (২ লিটার), পুরুষদের জন্য ১২
গ্লাস(৩ লিটার) পানি খেতে হবে| এটি সারাদিনের সব রকমের পানীয়র হিসাব| তবে যারা ব্যায়াম
করেন, তারা আরো বেশি পানি পান করবেন|
·
রাতে ঘুমানোর সময় ক্ষুধা লাগলে কিছু না খাওয়াই
ভালো, তবে ননী/ফ্যাট ছাড়া দুধ খেতে পারেন|
·
খাবারে শর্করার পরিবর্তে সবজি ও ফল রাখা, কারণ এগুলোতে আছে প্রচুর ভিটামিন, ফাইবার ও antioxidant.
·
সালাদ বেশি বেশি খাওয়া, দুপুর ও রাতের
খাবারের সাথে অবশ্যই সালাদ থাকবে|
·
মাছ অবশ্যই খেতে হবে, মাংশ কম খেয়ে মাছ
বেশি খেলে ভালো | লাল মাংশ : যেমন গরুর মাংশ না খাওয়া ভালো |
·
সাদা আটার রুটি না খেয়ে, লাল আটার রুটি খাওয়া| কারণ লাল আটা complex
carbohydrate, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী| তেমনি সাদা শর্করা
যেমন সাদা চালের ভাত বাদ দিয়ে, লাল চাল খাওয়া ভালো |
·
বিনস( যেমন: red kidney
beans), কাচা ছোলা এগুলো প্রতিদিন খেতে হবে| কারণ এগুলো তে আছে কম ফ্যাট, এবং cholesterol কমানোর উপাদান | তাছাড়া ভিটামিন বি, potassium,
fiber ও আছে এগুলোতে| যা হজম শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
|
·
ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়া, অবশ্যই ননী বিহীন
দুধ |
·
প্রতিদিন টক দই খাওয়া, চিনি ছাড়া|
·
মহিলাদের জন্য calcium সমৃদ্ধ খাবার : দুধ, টক দই প্রতিদিন খেতেই হবে
·
ভাত কম খেয়ে, সবজি, ফল,সালাদ বেশি খাওয়া|
·
পরিমিত পরিমানে খাওয়া |
·
প্রতিদিনে ৫/৬ বার খাওয়া |
·
দুই, তিন ঘন্টা পর পর ২০০/৩০০ ক্যালরি
খাওয়া সব চাইতে ভালো অভ্যাস
·
সকালের নাস্তা অবশ্যই খাওয়া
·
ভাজা পোড়া, বেশি ক্যালরি যুক্ত
খাবার এড়িয়ে চলা|
·
প্রানিজ আমিষ সবসময় না খেয়ে উদ্ভিজ
আমিষ বেশি খাওয়া |কারণ উদ্ভিজ আমিষ এ ফ্যাট কম থাকে |
·
প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম snacks হিসাবে খাওয়া, এতে ত্বকের
সৌন্দর্য্য বাড়ে, cholesterol কমে|
·
প্রতি বার খাবারে আমিষ খেতে হবে
পরিমান মত| আমিষ হতে পারে: মাছ, সাদা মাংশ ( মুরগির মাংশ ইত্যাদি) , বিনস, বাদাম, ডাল, পনির, দই ইত্যাদি | কারণ আমিষে শর্করার
তুলনায় কম ক্যালরি থাকে, এটা পেট ভরা রাখে ও ওজন কমাতে সাহায্য
করে | এটা muscle গঠনেও সহায়তা করে| পুরুষরা কিন্তু বেশি বেশি আমিষ খাবেন|
·
ওজন কমাতে চাইলে চিনি একেবারে বাদ দিতে
হবে| মিষ্টি জাতীয়, চিনি যুক্ত খাবার বাদ দিতেই হবে |
·
বেশি তেল ও মশলা যুক্ত খাবার বাদ
দিতে হবে| তবে মশলা ভালো, বিভিন্ন রকম মশলার বিভিন্ন গুনাগুন আছে| তবে পরিমানমত দিয়ে
রান্না করতে হবে|
·
ভাজা, ভুনা নয়, সিদ্ধ,
grilled, broiled উপায়ে রান্না করতে হবে|
·
খাবারের মেনুতে প্রচুর ফাইবার
সমৃধ্য খাবার যেমন: লাল আটা , শাক , বিনস,সালাদ, সবজি, ফল, oats,cornflakes রাখুন| কারণ ফাইবার ওজন
কমায়, হজম শক্তি বাড়ায় , এবং cholesterol কমায়| মহিলাদের জন্য
২১-২৫ গ্রাম এবং পুরুষদের জন্য ৩০-৩৮ গ্রাম ফাইবার খেতে হবে
প্রতিদিন|
·
খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবন না খাওয়া | কারণ অতিরিক্ত লবন
শরীরে পানি আনে, blood pressure ও ওজন বাড়ায়| রান্নাতেই অনেক লবন
থাকে, বেশি লবন খাবার দরকার নেই|
·
সপ্তাহে একদিন নিজের পছন্দের খাবার খাওয়া| এটা খাওয়ার রুচি
বাড়িয়ে, একঘেয়েমি কমাবে | শরীর একরকম খাবারে অভ্যস্ত হলে সেই ডায়েটিং কোনো
কাজে আসবে না | এই প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ দেই, যা অনেকেই ভুল করে| যেমন আমাকে বাইরে restaurant এ , কোনো program এ খেতে দেখলে সবাই অবাক হয়ে
জিগ্গেস করে কেন আমি উল্টা পাল্টা খাবার খাচ্ছি, কারণ সপ্তাহে একদিন অন্যরম বা প্রিয়
খাবার পরিমান মত খেলে কোনো অসুবিধা নেই, বরং এটা শরীরের
জন্য ভালো | সেক্ষেত্রে restaurant এ গেলে পরিমানমত খেতে হবে, একবারে কখনই বেশি
খাওয়া যাবে না| যে পরিমান খাবার একজনের জন্য restaurant এ দেয়, তা দুজন, তিনজন ভাগ করে খাওয়া উচিত, কারণ এত বেশি
পরিমান একসাথে খাওয়া ঠিক নয়|
Post a Comment