দেহের অন্যান্য অঙ্গের যত্ন নিতে
বেশ সতর্ক থাকলেও পায়ের যত্নে অনেককেই অবহেলা করতে দেখা যায়। কিন্তু
সৌন্দর্য চর্চা তখনই পুরোপুরি নেয়া সম্ভব যখন আমরা দেহের অন্যান্য অংশের
পাশাপাশি পায়ের যত্নও পুরোপুরি নিতে পারি। আর তাহলেই সম্ভব পা দুটিকে
নজরকাড়া সুন্দর করে তোলা। তাই আজ চলুন দেখে নিই নজরকাড়া সুন্দর পা পেতে
আমরা কি কি করতে পারি।
১) পায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে গেলে ১ খণ্ড
লেবু চিনিতে গড়িয়ে নিয়ে তা দিয়ে পায়ের ত্বক ভালো করে ঘষে নিন। এতে ভালো
স্ক্রাবারের কাজ হবে এবং লেবুর ব্লিচিং ইফেক্টের কারণে ছোপ ছোপ দাগ দূর
হবে।
২) শুধু মুখের ত্বকেই নয় ময়েসচারাইজার লাগান
পায়ের ত্বকেও। এতে করে পায়ের ত্বক থাকবে নরম ও কোমল। শুষ্ক হওয়ার সুযোগই
পাবে না।৩) অনেকের পায়ের গোড়ালির চামড়া মোটা হয়ে ফাটা দাগ হয়ে। এর থেকে
মুক্তি পেতে ১ টি পেঁয়াজ পুড়িয়ে নিয়ে হামান দিস্তায় পিষে নিন ভালো করে।
এরপর তা পায়ের তলার মোটা ফেটে যাওয়া চামড়ায় লাগান নিয়মিত। ১ মাসের মধ্যে
সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ।
৪) আধা চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে ফেলুন আধা কাপ
টকদইয়ে। এরপর তা দিয়ে পুরো পা ম্যাসেজ করুন। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের
পরিবর্তন নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।
৫) রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে কর্ণফ্লাওয়ার মিশিয়ে এতে পা ভিজিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট।
৬) সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন গরম পানিতে সামান্য
লবণ এবং শ্যাম্পু দিয়ে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখবেন। এতে পায়ের ময়লা,
ধুলোবালি, ফাঙ্গাস এবং ব্যাকটেরিয়া দূর হবে। এবং পায়ের ত্বক এবং নখ ভালো
থাকবে।
৭) পায়ের নখ বেশি বড় না করাই ভালো। কারণ পায়ের
নখ বড় হলে এতে ময়লা বেশি আটকায়। এতে করে পারে ফাঙ্গাসের আক্রমণ হতে পারে।
এছাড়া নখে নেইলপলিশ বেশিদিন রাখবেন না নখে হলদেটে ভাব আসতে পারে।
৮) পায়ের লোম তোলার সময় সতর্ক থাকুন। খুব বেশি
ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না। এবং লোম তোলার পর অবশ্যই
ময়েসচারাইজার ব্যবহার করবেম।
৯) পায়ের ভালো চাইলে সবসময় হিলজুতো পড়ার
অভ্যাস ত্যাগ করুন। আবার সবসময় পাতলা সোলের জুতোও পড়বেন না। ১ বা ১.৫ ইঞ্চি
হিল জুতো পরার অভ্যাস করুন।
১০) পায়ের ত্বকে কোনো ইনফেকশন এবং নখে
ফাঙ্গাসের সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা করবেন না একেবারেই। যতো দ্রুত সম্ভব
ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
Post a Comment