যারা মিথ্যা কথা বলে তাদের উদ্দেশ্য হলো অন্য কেউ যেন তা না বোঝে।
কিন্তু আপনি কিছু বিষয় খেয়াল করলে সহজেই বুঝতে পারবেন যে সে মিথ্যা বলছে।
আসুন জেনে নিই এরকম তিনটি সূত্র যার মাধ্যমে
মিথ্যাবাদিকে।
১. দরকার মৌলিক বোধশক্তি
বিশেষজ্ঞদের মতে, মিথ্যাবাদীকে ধরতে জাদু-মন্তর দরকার নেই। বক্তার কথা ও
আচরণেই অনেক ফাঁকফোকর থাকে। সেগুলোই ধরতে হবে। মিথ্যা বলার সময় ব্যক্তি
সাধারণত কী ধরনের আচরণ করে—সে সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকতে হবে। ভিত্তি
গড়ে উঠলে ২০-৩০ সেকেন্ডের পর্যবেক্ষণেই অনেক কিছু চিহ্নিত করা সম্ভব। যেমন,
চেহারায় আতঙ্কভাব ফুটে ওঠা মিথ্যাবাদীর সাধারণ একটি লক্ষণ।
২. চেহারায় পরিবর্তন
কথা ও ব্যাকরণের অসামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবর্তনের দিকে
নজর দিন। মিথ্যা বলার
সময় চুলে হাত দেওয়া, জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানানো, হঠাৎ বিষয় ও গলার স্বরে
উত্থান-পতন, কোনো প্রশ্নের প্রতিবাদ জানাতে হাত নাড়াচাড়া করা মিথ্যাবাদীর
সহজাত অঙ্গভঙ্গি। অবশ্য অনেক ‘পেশাদার’ মিথ্যাবাদী এগুলো করে না।
৩. জড় পদার্থের মতো আচরণ
মিথ্যা বলার সময় অনেকে বোধশক্তিহীন বা জড় পদার্থের মতো আচরণ করে। এটা এক
সেকেন্ড কিংবা কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঘটতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, বড়
ধরনের মিথ্যা বলার সময় মানুষ যেন পাথর হয়ে যায়। আবার তাদের হাসির মাঝেও
সূত্র লুকিয়ে থাকে। সত্যিকারের হাসির বিস্তৃতি চোখ পর্যন্ত। কিন্তু মিথ্যা
হাসির
সীমানা সাধারণত ঠোঁট পর্যন্ত হয়।
Post a Comment